শার্শায় আকস্মিক টর্নেডো আংশিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা লন্ডভন্ড
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি।।যশোরের শার্শায় ১০ সেকেন্ডের আকস্মিক টর্নেডোয় উপজেলার শ্যামলাগাছীর পোতাপাড়ায় ও স্বরুপদহ গ্রামের আংশিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। টর্নেডোর আঘাতে বেশ কিছু কাঁচা পাকা বাড়ি ও টিনের ঘরসহ শতাধিক রেন্ট্রি ও মেহগনি গাছ এবং বিভিন্ন ফলজ গাছ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার পর গত ২ দিনের অবিরাম বর্ষণে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে বৃস্টির পানিতে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়া কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করায় এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
শার্শার পোতাপাড়া গ্রামের কৃষক আজিবর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে আকস্মিক ১০ সেকেন্ডের টর্নেডোয় তার ১৫ বিঘা জমির উপশি জাতের ধান মাটির সাথে মিশে গেছে। কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। কৃষি বিভাগের কোন লোকজন এখনো একটু দেখতেও আসেনি।
একই গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন জানান, স্ত্রী সন্তানসহ ঘটনার সময় ঘরের মধ্যে ছিলাম। ওই সময় ঘরের উপর গাছ চাপা পড়লে ঘরটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়ে। অল্পের জন্য বেঁচে যায় তোফাজ্জেল ও তার পরিবারের সদস্যরা। তোফাজ্জেল এখন আশ্রয়হীন হয়ে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
ওই গ্রামের ব্যাংকার আব্দুল গনি জানায়, তার ছোট বড় ৫০টি মেহগনি ও রেন্ট্রি গাছ টর্নেডোয় গুড়িয়ে দিয়েছে। প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে তার। একই কথা বলেন শার্শা পল্লী বিদ্যুতের সাবেক এলাকা পরিচালক ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম এর ১০টি, রফিকুলের ৫টি, মহব্বত, গফ্ফার, তোতাসহ শতাধিক ব্যক্তির গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অতি বর্ষণের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শার্শা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর হাইব্রিড ও উপশি জাতের ১৯ হাজার ৫শত ৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে যে সমস্ত ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে ওই সমস্ত ধানের ক্ষতি কম হবে, যে সমস্ত ধান বৃষ্টির মধ্যে ফুল ফুটেছে ওই সমস্ত ধান ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ক্ষতির পরিমান জানা যাবে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে সবজী আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন বলে জানান গ্রামের লোকজন।