নাইকো দুর্নীতি: আবেদনের শুনানি ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি
গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে নাইকোর আবেদনের শুনানি আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছে।
আদালতে নাইকোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
গত ২৪ আগস্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর করা সব চুক্তি অবৈধ বলে ঘোষণা দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও ব্লক-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়।
ওই রায়ে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ছাতকে গ্যাসকূপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) করা যাবে না।
নাইকো সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন আদালতে লড়া বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন গনি।
ওইসময় তিনি জানান, ‘নাইকোর সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে গত বছর জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলম রিট আবেদনটি করেন।
গত ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি, দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া ২০০৫ সালে ছাতকে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দেরও আবেদন জানানো হয়।
এরপর গত বছরের ৯ মে রুল জারি করে হাইকোর্ট—পরে ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট এ দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করা সব চুক্তি অবৈধ বলে রায় দেয় হাইকোর্ট।