বরগুনায় অস্থির কাঁচা বাজার,নেই মনিটরিং ব্যবস্থা !
জাহিদুল ইসলাম মেহেদী,বরগুনা : বছর শুরতেই অস্থির হয়ে উঠেছে বরগুনার কাঁচা বাজার। শীত মৌসুমে সকল ধরনের সাক সবজি ক্রেতারের নাগালের বাইরে ছিল। বর্তমানে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমলেও চড়া হয়ে উঠছে নিত্য প্রয়োজনিয় কাচা বাজার। কুয়াশার কারনে সবজি নষ্ট ও পরিবহন সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারি ভাবেও নেই বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা। ক্রেতারা মনে করছে বাজার নিয়ন্ত্রেনে সরকারি পদক্ষেপ খুব দরকার। নিন্ম আয়ের সাধারন মানুষ পড়েছে বিপাকে। রোববার সকালে বরগুনা কাঁচা বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিরন আহমেদ বলেন,“ বাজারে শাক-সবজির দাম একেক সময় একেক রকম। ব্যবসায়ীরা তাদের সিন্ডিকেটে দাম বাড়িয়ে অতি মুনফা লুটছে। স্থানিয় প্রশাসনের পক্ষথেকে বাজার মনিটরিং এর কোন ব্যবস্থা চে*াখে পড়েনি। যার কারনে কাঁচা বাজার হাতের নাগালের বাইরে এখন” । মাহবুবুল আলম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, স্থানিয় বাজারে সব ধরনের মারেল জোগান থাকা সত্বেও দোকানীরা তাদের ইচ্ছেমত দাম বাড়াচ্ছে। তাই আমি মনে করি জরুরী ভিত্তিত্বে এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করলে কিছুটা দাম কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এদিকে গত সপ্তাহ থেকে সবজিভেদে এরইমধ্যে দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা। অস্থিরতা চাল ও পিঁয়াজের দামেও। সোমবার বরগুনার বেশ কয়েকটি স্থানিয় বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। সবশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ১০ টাকা বেড়ে তা এখন ৬০ টাকা, সিম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা, মূলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, দেশি টমেটো ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আগের দামে আমদানি করা টমেটো ৮০, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০-৫০, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫-৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চালের বাজারের অস্থিরতা এখনো বিরাজমান। চালের সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা,পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা। অন্যদিকে সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম। মাছের সর্বশেষ বাজার খুচরা বাজারের অথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সরকার অচিরেই দ্রব্য মুল্যের দাম সহনষশীল পর্যায় নিয়ে আসবে এমন দাবী সাধারন মানুষদের।