‘হয়রানি নয়, আইন মেনেই জিজ্ঞাসাবাদ হবে’
পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে নাম থাকায় চার ব্যবসায়ীকে অর্থপাচারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সোমবার (১৬ জুলাই) সকালে থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে দুদকের একটি তদন্ত টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।এদিকে পানামা পেপারের তথ্য ফাঁস বিষয়ে অস্বীকার করেছে ইউনাইটেড গ্রুপ। অন্যদিকে, দুদক বলছে কাউকে হয়রানি করার জন্য নয়, বরং পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের সূত্রে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
২০১৬ সালে ৪ এপ্রিল মোসাক ফনসেকা নামে পানামার একটি আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয়। নথিতে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রপ্রধান, ব্যবসায়ীদের নাম আসে।
কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ ৩৪ জন ব্যক্তি ও ১ টি প্রতিষ্ঠানের নামও প্রকাশ পায়। আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সংবাদ সংস্থা আইসিআইজে ও দেশের পত্রপত্রিকায় প্রকাশে সূত্র ধরে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদসহ ৩ পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
এসময় ভুল তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'পানামা পেপারসে আমাদের কোনো নাম আসেনি। কোনো একটা পত্রিকায় লিখেছিল যে, আমাদের নাম আছে। এজন্য আমাদের ডাকা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ঘটনা। আমাদের তো এখন ডাকার কথা না। যাদের পানামা পেপারসে নাম ছিল তাদের তখনই ডাকা হয়েছিল।'দুপুর বারোটার পর থেকে একে একে দুদক কার্যালয়ে আসেন ইউনাইটেড গ্রুপে পরিচালক খন্দকার ইসমাইল আহসান, আহমেদ ইসমাইল হোসেন ও আকতার মাহমুদ। হয়রানির জন্য নয়, খবরের সূত্র ধরে তাদের আয় ব্যয়ের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানায় দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন।
তিনি বলেন, 'মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জিত হয়েছে, এই ধরণের অভিযোগ আছে। সেটার জন্যই এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এখানে তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এখানে অহেতুক হয়রানি করা হবে না। আইনের আওতায় কাজটা করা হবে।'
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা একজন বিদেশিসহ আরও ২ বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দুদক সূত্র জানায়। ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক আখতার হামিদ ভুঁইয়ার নেতৃত্ব ৩ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।